বন‍্যা কবলিত এলাকায় ঘুরলেন সায়ন্তিকা : দুর্গতদের সাথে কথা না বলায় ক্ষোভ

2nd August 2021 5:03 pm বাঁকুড়া
বন‍্যা কবলিত এলাকায় ঘুরলেন সায়ন্তিকা : দুর্গতদের সাথে কথা না বলায় ক্ষোভ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  বন্যা কবলিত এলাকায় এসে ঘুরলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু জল যন্ত্রনায় থাকা মানুষদের কথাই শুনলেন না তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়ল এলাকার মানুষ । 

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে  বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের দামোদর নদের জলের প্লাবিত জলবন্দী গ্রামে এলেন তৃনমূলের প্রতিনিধি দল। রাজ্য তৃনমূলের সম্পাদিকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃনমূল নেতা সমীর চক্রবর্তী,  তৃনমূল বাঁকুড়া জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা সহ তৃনমূলের প্রতিনিধি দলটি  বেলা ২টা নাগাদ এসে পৌছন সোনামুখী ব্লকের দামোদর নদের জলে প্লাবিত সমিতি মানা গ্রামে । তবে গ্রামের মানুষের দাবি রাজ্য সম্পাদিকা তাদের গ্রামে এসে মানুষের অভাব অভিযোগ কিছুই শোনেননি এমনকি জলের তোরে যে বাঁধ ভেঙেছে সে বাঁধ পরিদর্শন করেন নি তিনি ।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জয়মালা বিশ্বাস জানান সকাল থেকেই আমরা অপেক্ষা করছি তৃণমূল নেত্রী কে আমাদের অভাব-অভিযোগ শোনাবো কিন্তু তৃণমূল নেত্রী আমাদের কোন কথায় শোনেন নি এমনকি ঘাটের পাড় থেকে তিনি ঘুরে চলে গেছেন ।

আরেক গ্রামবাসী অনিমা ভক্ত জানান ম্যাডাম কি করতে এসেছিলেন ? না আমাদের সাথে কোনো কথা বলেছে না আমাদের কোন অভাব অভিযোগ শুনেছে এমনকি মূল ভাঙ্গন যেখানে সেখানে তিনি যাননি ।

এলাকা পরিদর্শনে এসে তৃনমূল রাজ্য সম্পাদক জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এলাকায় এসেছেন এলাকার মানুষ প্রচুর কষ্টের মধ্যে রয়েছেন প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছেন।  এলাকার মানুষের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রী কাছে তুলে ধরবেন।  এলাকার মানুষের সমস্যার যাতে দ্রুত সমাধান হয় সেটার ব্যবস্থা করার কথা জানান তিনি।

দীর্ঘ দিন ধরে এই সমস্যার সমাধান হয়নি। এলাকার দামোদরের ভাঙ্গন  রোধের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই প্রসঙ্গে তৃনমূল নেতা সমীর চক্রবর্তী বলেন,  ২০১৯ সাল থেকে বিজেপি সাং সদ রয়েছে এই এলাকায়।  এর আগে সি পি এমের বিধায়ক ছিলেন এই এলাকায়।  বর্তমানে বিজেপি বিধায়ক রয়েছে তারা এই সমস্যার সমাধান নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বিজেপি সাংসদ নিজের সাংসদ তহবিল থেকে কেন   এখানে ভাঙ্গন  রোধের ব্যবস্থা করেন নি প্রশ্ন তুলেন তৃনমূল রাজ্য  নেতা সমীর চক্রবর্তী। তিনি বলেন তৃনমূলের সরকার দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করবেন।

লোক দেখাতে এসেছিলেন এলাকার মানুষ তাদের  সমস্যার কথা জানাতেই পারলেন না। কি জন্য এলাকায় এলেন তা বুঝতেই পারলেন না জল যন্ত্রনায় থাকা পরিবার গুলি।  তাই গ্রামবাসীরাও নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিলেন।

এ বিষয়ে সোনামুখী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী জানান , উনারা এলেন অথচ এলাকার মানুষের সাথে কথাই বললেন না । সেলিব্রেটি এনে এলাকার উন্নয়ন করা যাবে না । এলাকার উন্নয়ন করতে হলে এলাকার মানুষের সাথে কথা বলতে হবে ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।